মোঃ জি,কে,শিকদার : নিজস্ব প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে আলোচিত সায়মা আক্তার মীম (২০) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তার স্বামী রায়হান, তিনি আদালতে জানান, স্ত্রী সায়মা আক্তার মীম তাকে অন্য স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে পুনরায় সামাজিকভাবে বিয়ে করতে চাপ দিচ্ছিলেন। এ নিয়েই ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি মীমকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
এবং বুধবার (১৫) অক্টোবর বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুর মোহসিনের আদালতের খাস কামরায় রায়হান এই জবানবন্দি প্রদান করেন, পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন নারায়ণগঞ্জ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মোঃ কাইয়ুম খান জানান, অভিযুক্ত রায়হান আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
চার দিন নিখোঁজের, পর মঙ্গলবার (১৪) অক্টোবর বিকেলে সোনারগাঁয়ের কাইকারটেক ব্রিজসংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদপাড়ের ঝোপ থেকে স্কচটেপে মোড়ানো বস্তাবন্দি অবস্থায় মীমের মরদেহ উদ্ধার করে নৌপুলিশ, দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে লাশটি উদ্ধার করা হয়, নারায়ণগঞ্জ নৌপুলিশের পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধারের এক ঘণ্টার মধ্যেই নিহতের স্বজনরা পরিচয় শনাক্ত করেন, এরপর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রাত দেড়টার দিকে কুমিল্লা থেকে রায়হানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার রায়হান ও পাবনার সায়মা আক্তার মীমের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে তারা প্রায় এক বছর ধরে সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া এলাকার আমতলায় ভাড়া বাসায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করছিলেন, এ সময় মীম অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন, দুই মাস আগে রায়হান অন্য এক নারীকে বিয়ে করলে বিষয়টি জানাজানি হয়, এরপর মীম তাকে ডিভোর্স দিয়ে পুনরায় বিয়ে করতে চাপ দেন, এ নিয়েই তাদের সম্পর্কে ফাটল ধরে।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, পরিকল্পিতভাবে গত (১০) অক্টোবর রাতে রায়হান মীমকে কাইকারটেক ব্রিজসংলগ্ন বালুর মাঠে নিয়ে যান, সেখানে হিজাব দিয়ে গলা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন, পরে হাত-পা স্কচটেপে পেঁচিয়ে পলিথিনে মুড়িয়ে বস্তাবন্দি অবস্থায় নদীর তীরে ফেলে দেন, নিহত সায়মা আক্তার মীম পাবনা জেলার সুজানগর থানার দয়ালনগর গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে।